Verified Stripe অ্যাকাউন্ট কেনা নিরাপদ কিনা তা নির্ভর করে আপনি কোথা থেকে এবং কিভাবে কিনছেন তার উপর। Stripe নিজেই একটি নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, যা উন্নত এনক্রিপশন এবং ফ্রড প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করে। তবে, verified Stripe অ্যাকাউন্ট কেনার ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি অবিশ্বস্ত বা সন্দেহজনক সোর্স থেকে অ্যাকাউন্ট কিনেন।

কেন verified Stripe অ্যাকাউন্ট কেনা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে:

• অনেক সময় বিক্রেতারা অবৈধ বা চুরি করা তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকেন, যা পরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
• আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
• অবিশ্বস্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা অ্যাকাউন্টে ফ্রড বা স্ক্যাম হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নিরাপদ থাকার জন্য করণীয়:

• শুধুমাত্র বিশ্বস্ত এবং পরিচিত সাইট বা বিক্রেতাদের থেকে verified Stripe অ্যাকাউন্ট কিনুন।
• বিক্রেতার রিভিউ এবং গ্রাহক প্রতিক্রিয়া ভালো করে যাচাই করুন।
• নিজের তথ্য দিয়ে নিজে Stripe অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করাই বেশি নিরাপদ এবং আইনি দিক থেকে সঠিক।

Stripe প্ল্যাটফর্ম নিজে নিরাপদ হলেও third party verified Stripe অ্যাকাউন্ট কেনা সবসময় নিরাপদ নয় এবং এতে ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনাকাটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

কিভাবে আমি নিজের স্ট্রাইপ অ্যাকাউন্টকে ভেরিফাই করতে পারি

আপনি নিজের স্ট্রাইপ (Stripe) অ্যাকাউন্টকে ভেরিফাই করতে চাইলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

• প্রথমে Stripe এ একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। বাংলাদেশ থেকে Stripe অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সাধারণত UK বা অন্য কোনো দেশের কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, কারণ Stripe সরাসরি বাংলাদেশে সাপোর্ট করে না। এজন্য আপনি UK তে একটি কোম্পানি খুলতে পারেন, যা অনলাইনে বিভিন্ন সার্ভিস থেকে করানো যায়।
• কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে Stripe এ সেই কোম্পানির তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
• Stripe আপনার আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন চাওয়ার সময় আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড (বা পাসপোর্ট) এর ছবি এবং নিজের একটি সেলফি ছবি আপলোড করতে হবে।
• এছাড়া আপনাকে একটি প্রুফ অফ অ্যাড্রেস দিতে হবে, যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ইউটিলিটি বিল, যা অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে এবং সাম্প্রতিক (সর্বশেষ ৩ মাসের) হওয়া উচিত।
• ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হলে Stripe এই তথ্য যাচাই করে এবং সাধারণত ১-২ দিনের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করে দেয়।
• ফোন ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হলে Google Authenticator অ্যাপ ব্যবহার করে ভেরিফাই করা যায়, তাই UK ফোন নম্বরের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিজের Stripe অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ ও বৈধভাবে ভেরিফাই করতে পারবেন এবং কোনো তৃতীয় পক্ষ থেকে Verified Stripe অ্যাকাউন্ট কেনার ঝুঁকি এড়াতে পারবেন

স্ট্রাইপ অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য কোন ডকুমেন্ট লাগে

স্ট্রাইপ অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য সাধারণত নিচের ডকুমেন্টগুলো লাগে:

• সরকারি পরিচয়পত্র (Government-issued ID): যেমন পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। স্ট্রাইপ আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এই ডকুমেন্টের রঙিন স্ক্যান বা ছবি চায়।
• ঠিকানার প্রমাণ (Proof of Address): বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা অন্য কোনো সরকারি বা ব্যাংক থেকে জারি করা ঠিকানাসহ ডকুমেন্ট যা সাম্প্রতিক (সাধারণত ৩-৬ মাসের মধ্যে) হতে হবে।
• ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকানার প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ভয়েড চেক যা দেখায় যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম এবং স্ট্রাইপ অ্যাকাউন্টের মালিকের নাম মিলে।
• ব্যবসায়িক ডকুমেন্টস (যদি ব্যবসায়ী হন): কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স আইডি, বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কাগজপত্র যা স্ট্রাইপের প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে হতে পারে।

ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় স্ট্রাইপ যদি অতিরিক্ত তথ্য বা ডকুমেন্ট চায়, তারা আপনাকে ইমেইল বা ড্যাশবোর্ডে নোটিফিকেশন মাধ্যমে জানাবে।

সুতরাং, আপনার পরিচয়, ঠিকানা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রমাণমূলক ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখলেই স্ট্রাইপ অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা সহজ হবে।